শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় নদ-নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় সাংবাদিকদের করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনির্বাণ লাইব্রেরীর মিলনায়তনে, ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশ এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এর যৌথ আয়োজনে,সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এর সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তন ও মনুষ্য সৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ আজ হুমকির মুখে।স্থানীয় সাংবাদিকদের পক্ষে এই সকল কারণগুলো চিহ্নিত করা সহজ।

আর কারণগুলো চিহ্নিত করে গণমাধ্যমে যথাযথভাবে তুলে ধরা গেলে সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করা সম্ভব।তবে এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের আরো দক্ষ ও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন বক্তারা।আলোচ্য বিষয়ের উপর দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন(বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল,

বিএফইউজের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন,বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব শেখ হেদায়েত হোসেন, বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল হাসান,সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ,অনির্বাণ লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ,সাংবাদিক আজিজুর রহমান,নারায়ণ মজুমদার, ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।পাইকগাছা,কপিলমুনি, কয়রা,তালা,পাটকেলঘাটা হতে আগত তৃনমূল সাংবাদিকগণ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।

এছাড়াও ভার্চুয়ালি অংশ নেন অনির্বাণ লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ডিআইজি জয়দেব ভদ্র ও ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের প্রতিনিধি নূর আলম শেখ।সভায় বক্তারা আরও বলেন,দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এমনিতেই দুর্যোগের ঝুঁকিতে আছে।এরপর কপিলমুনিতে সেতু নির্মাণের নামে পিলার স্থাপন করে ২০ বছর ধরে নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়াই নদীটি মৃতপ্রায়।এ ছাড়া দখল,দূষণের যে চিত্র দেখা গেছে তা উদ্বেগ জনক।ঐতিহ্যবাহী নদীটি রক্ষায় বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দখল, দূষণ ও ভরাট হওয়ার কারণে কপোতাক্ষ নদের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়েছে। দূর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় কপোতাক্ষ নদের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।কপোতাক্ষ নদের প্রবাহ স্বাভাবিক না হলে সাতক্ষীরা,খুলনা,

যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নেমে আসবে।তাই নদী রক্ষায় সচেতন হতে হবে, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।

সভা শেষে নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ভাঙ্গন কবলিত দখল ও দুষণের শিকার কপোতাক্ষ নদের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।ভূক্তভোগী জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।দীর্ঘ দুই যুগ ধরে কপিলমুনি-কানাইদিয়া সেতুর পিলার বসিয়ে নদীর গতিপ্রবাহ নষ্ট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।কপোতাক্ষ নদের বালিয়া অংশ থেকে আগড়ঘাটা পর্যন্ত খনন কাজ দ্রুত শুরুর করার দাবী জানান।